জরুরী কয়েকটি মাসআলা
১. প্রশ্নঃ নামাজে কিরাআত পড়তে গিয়ে মধ্যখানে ২/১ আয়াত ছেড়ে দিলে নামাজ আদায় হবে কি না?
উত্তরঃ জ্বী, নামাজ আদায় হবে। কিরাআতের ক্ষেত্রে ৩ আয়াত পরিমাণ হয়ে গেলে বা মধ্যখানে ছেড়ে দেয়ার ফলে অর্থে কোন পরিবর্তন না আসলে নামাজ হবে, এতে কোন সমস্যা নাই। ইমদাদুল মুফতিন পৃ. ৩৫০. ফতোয়ায়ে রাহমানিয়া ২৮৮/১
২. প্রশ্নঃ নামাজে দাড়াতে কারো পা সোজাসোজি না রেখে অনিচ্ছাকৃতভাবে হালকা বাঁকা করে রাখলে কি নামাজ হবে?
উত্তরঃ জ্বী, নামাজ হবে। কারো স্বাস্থগত কারণে বা পেট বড় হওয়াতে পা সোজাসোজি না রাখতে পারলে সমস্যা নেই নামাজ আদায় হবে।
৩. প্রশ্নঃ কেউ কাচা পিয়াজ বা রসুন খেয়ে নামাজ পড়লে কি নামাজ হবে?
উত্তরঃ নিঃসন্দেহে পিয়াজ বা রসুন ভিটামিন জাতীয় খাবার, এবং তা খাওয়া হলাল। কাঁচা পিয়াজ বা রসুন খেয়ে নামাজ পড়া বা মসজিদে যাওয়াতে হাদিছের মধ্যে নিষেধ করা হয়েছে। যে কারণে ফিকাবহবিদগণ কাঁচা পিয়াজ বা রসুন খেয়ে নামাজ পড়াকে মাকরুহ বলেছেন। কেউ পড়ে ফেললে নামাজ হবে কিন্তু মাকরুহ হবে। তবে কেউ খেয়ে মূখ ভাল করে পরিস্কার করে দূর্গন্ধ দূর করে নামাজ পড়লে কোন সমস্যা নেই, নামাজ হবে, মাকরুহ হবে না। তিরমিজি ৩৯২৭
৪. প্রশ্নঃ যে কোন বিষয়ে ফতোয়া কে দিবে? এবং কখন দিবে?
উত্তরঃ ফতোয়া দেয়ার অধিকার মূলত মুফতি সাহেবানদের, তবে ছোটখাটো বিষয়ের সমাধান জানা-শুনা ব্যক্তি দিতে পারেন। কিন্তু অজানা বিষয়ে বা ধারণার উপর ভিত্তি করে ফতোয়া দেয়ার অধিকার শরিয়ত কাউকে দেয়নি। কারণ অজানা বিষয়ে কথা বলা ভুল হলে সম্পূর্ণ দায়ভার নিতে হবে, যে কারণে যে কেউ অজানা বিষয়ে কথা বলা উচিত নয়।
৫. প্রশ্নঃ কেউ যদি কারো উপরে মিথ্যা অপবাদ তুলে বা গিবত-পরনিন্দা করে যে, অমুক এমন বা অমুক তেমন, অথচ বাস্তবতা উল্টো, তাহলে তার পরিণাম কী?
উত্তরঃ গীবত বা পরনিন্দা একটি সর্বনাশা মহাপাপ। এই পাপের মাধ্যমে হাক্কুল ইবাদ বা বান্দার অধিকার নষ্ট হয়। কারণ পরনিন্দার মাধ্যমে অন্যের সম্মান হানি করা হয় এবং তার মর্যাদার ওপর চরমভাবে আঘাত করা হয়, যা আল্লাহ প্রত্যেক মুসলিমের উপর হারাম করেছেন। দুনিয়া ও আখেরাতে গীবতকারীর পরিণাম অত্যন্ত ভয়াবহ হয়।
নিম্নে গীবতের পরিণাম ও ভয়াবহতা সংক্ষেপে তুলে ধরা হলঃ
=> গীবত একটি ভয়াবহ কাবীরা গুনাহ : মুসলিমের জীবনে অন্যান্য কবীরা গুনাহের চেয়ে গীবতের প্রভাব ও পরিণাম অপেক্ষাকৃত বেশী ভয়ংকর। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) গীবতের ভয়াবহতা বুঝাতে যে উপমা দিয়েছেন, অন্য কোন মহাপাপের ব্যাপারে এত শক্তভাবে বলেননি। যেমন আয়েশা (রাঃ) বলেছেন, আমি একবার ছাফিয়া [রাসূল (ছাঃ)-এর স্ত্রী]-এর দিকে ইশারা করে বললাম, أَنَّهَا قَصِيرَةٌ ‘সে তো বেঁটে মহিলা’। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বললেন, اغْتَبْتِهَا ‘তুমি তো তার গীবত করে ফেললে’।[1] অপর বর্ণনায় এসেছে তিনি বললেন,
لَقَدْ قُلْتِ كَلِمَةً لَوْ مُزِجَتْ بِمَاءِ الْبَحْرِ لَمَزَجَتْهُ،
‘তুমি এমন একটি কথা বলেছ, যদি তা সমুদ্রে মিশিয়ে দেওয়া হয়, তবে সমুদ্রের পানির রং পাল্টে যাবে।
=> গীবত মৃত মানুষের গোশত খাওয়ার চেয়েও নিকৃষ্ট পাপ : আল্লাহ বলেন,
وَلا يَغْتَب بَّعْضُكُم بَعْضًا أَيُحِبُّ أَحَدُكُمْ أَن يَأْكُلَ لَحْمَ أَخِيهِ مَيْتًا فَكَرِهْتُمُوهُ،
‘আর তোমরা ছিদ্রান্বেষণ করো না এবং পরস্পরের পিছনে গীবত করো না। তোমাদের কেউ কি তার মৃত ভাইয়ের গোশত খেতে পসন্দ করে? বস্তুতঃ তোমরা সেটি অপসন্দ করে থাক’ (হুজুরাত ৪৯/১২)
=> যিনা-ব্যভিচার ও সূদ-ঘুষের চেয়েও নিকৃষ্ট পাপ গীবত : বারা ইবনে আযেব (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন,
الرِّبَا اثْنَانِ وَسَبْعُونَ بَابًا، أَدْنَاهَا مِثْلُ إِتْيَانِ الرَّجُلِ أُمَّهُ، وَأَرْبَى الرِّبَا اسْتِطَالَةُ الرَّجُلِ فِي عِرْضِ أَخِيهِ،
‘গীবতের বাহাত্তরটি দরজা আছে। তন্মধ্যে নিকটবর্তী দরজা হ’ল কোন পুরুষ কর্তৃক তার মায়ের সাথে ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়া। আর সবচেয়ে বড় সূদ হ’ল অপর ভাইয়ের সম্মানহানি করা (অর্থাৎ গীবত করা)
=> গীবতকারী কবরে শাস্তিপ্রাপ্ত হবে : মৃত্যুর পর থেকেই গীবতকারীর পরকালীন শাস্তি শুরু হয়ে যায়। ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন,
مَرَّ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِقَبْرَيْنِ، فَقَالَ: إِنَّهُمَا لَيُعَذَّبَانِ، وَمَا يُعَذَّبَانِ فِي كَبِيرٍ، أَمَّا أَحَدُهُمَا فَكَانَ لاَ يَسْتَتِرُ مِنَ البَوْلِ، وَأَمَّا الآخَرُ فَكَانَ يَمْشِي بِالنَّمِيمَةِ، ثُمَّ أَخَذَ جَرِيدَةً رَطْبَةً، فَشَقَّهَا نِصْفَيْنِ، فَغَرَزَ فِي كُلِّ قَبْرٍ وَاحِدَةً، قَالُوا: يَا رَسُولَ اللهِ، لِمَ فَعَلْتَ هَذَا؟ قَالَ: لَعَلَّهُ يُخَفِّفُ عَنْهُمَا مَا لَمْ يَيْبَسَا
‘নবী করীম (ছাঃ) একদা দু’টি কবরের পাশ দিয়ে অতিক্রম করলেন। এ সময় তিনি বললেন, এদের শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। তবে কোন গুরুতর অপরাধের জন্য তাদের শাস্তি দেওয়া হচ্ছে না। তাদের একজন পেশাব থেকে সতর্ক থাকত না। আর অপরজন চোগলখুরী করে বেড়াত। তারপর তিনি একখানি কাঁচা খেজুরের ডাল নিয়ে ফেড়ে দু’ভাগ করলেন এবং প্রত্যেক কবরের উপর একটা করে পুঁতে দিলেন। ছাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! কেন এমন করলেন? তিনি বললেন, আশা করা যায় এই দু’টি ডাল শুকিয়ে না যাওয়া পর্যন্ত তাদের আযাব কিছুটা হালকা করা হবে’।
=> গীবত বান্দার দ্বীনদারীকে ধ্বংস করে : আখেরাত পিয়াসী বান্দার জীবনে অমূল্য সাধনার ফসল হ’ল তার দ্বীনিয়াত। এটাকে উপজীব্য করে সে তার পার্থিব জীবন পরিচালনা করে। কিন্তু গীবত ও পরনিন্দা তার দ্বীনিয়াতকে ক্ষত-বিক্ষত করে দেয়। তার পরহেযগারিতার বুকে কুঠারাঘাত করে বসে। নীরব ঘাতকের মত তার ধার্মিকতায় পঁচন ধরিয়ে দেয়। বান্দা যদি গীবত থেকে নিজেকে রক্ষা করতে না পারে, তবে তার ধ্বংস কেউ ঠেকাতে পারে না।
=> গীবতের মাধ্যমে নেক আমল ক্ষতিগ্রস্ত হয় : পরনিন্দা একটি মারাত্মক পাপ, যা বান্দার নেক আমলের উপর প্রভাব বিস্তার করে এবং আমলের নেকী অর্জনে প্রতিবন্ধকতা তৈরী করে। যেমন কেউ যদি ছিয়াম রেখে গীবত করে, তাহ’লে সে ছিয়ামের ফযীলত ও নেকী লাভে বঞ্চিত হবে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন
مَنْ لَمْ يَدَعْ قَوْلَ الزُّورِ وَالعَمَلَ بِهِ، فَلَيْسَ لِلَّهِ حَاجَةٌ فِي أَنْ يَدَعَ طَعَامَهُ وَشَرَابَه،
‘যে ব্যক্তি মিথ্যা কথা এবং সে অনুযায়ী কাজ করা ও মুর্খতা পরিত্যাগ করল না, আল্লাহর নিকট (ছিয়ামের নামে) তার পানাহার পরিত্যাগের কোন প্রয়োজন নেই’।
=> দুনিয়া ও আখেরাতে নিজের ত্রুটি প্রকাশ পায় : পৃথিবীর কোন মানুষ ভুল-ত্রুটির ঊর্ধ্বে নয়। কম-বেশী সবার মাঝে ত্রুটি-বিচ্যুতি আছে। কেউ যদি নিজের দিকে নযর না দিয়ে অন্যের দোষ-ত্রুটি নিয়ে ব্যস্ত থাকে এবং গীবত করে, তাহ’লে তার দোষ-ত্রুটিগুলো যে কোন মাধ্যমে আল্লাহ প্রকাশ করে দেন। মূলত গীবতকারীর ত্রুটিগুলো প্রকাশ করে দিয়ে আল্লাহ তাঁর মুসলিম বান্দার পক্ষ থেকে প্রতিশোধ নিয়ে নেন। সেজন্য রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) মুসলমানদেরকে পরনিন্দা থেকে সাবধান করেছেন। আবূ বারযাহ আল-আসলামী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন,
يَا مَعْشَرَ مَنْ آمَنَ بِلِسَانِهِ، وَلَمْ يَدْخُلِ الْإِيمَانُ قَلْبَهُ، لَا تَغْتَابُوا الْمُسْلِمِينَ، وَلَا تَتَّبِعُوا عَوْرَاتِهِمْ، فَإِنَّهُ مَنِ اتَّبَعَ عَوْرَاتِهِمْ يَتَّبِعُ اللهُ عَوْرَتَهُ، وَمَنْ يَتَّبِعِ اللهُ عَوْرَتَهُ يَفْضَحْهُ فِي بَيْتِهِ،
‘ওহে যারা কেবল মুখেই ঈমান এনেছে কিন্তু ঈমান অন্তরে প্রবেশ করেনি! তোমরা মুসলমানদের গীবত করো না এবং তাদের দোষ-ত্রুটি খুঁজে বেড়িয়ো না। কারণ যে ব্যক্তি তাদের দোষ-ত্রুটি খুঁজে বেড়াবে আল্লাহও তার দোষ-ত্রুটি খুঁজবেন। আর আল্লাহ কারো দোষ-ত্রুটি খুঁজলে তাকে তার ঘরের মধ্যেই অপদস্থ করে ছাড়বেন’।
=> ক্বিয়ামতের দিন অন্যের পাপের বোঝা নিজের কাঁধে চাপে : ক্বিয়ামতের দিন কড়ায়গন্ডায় গীবতের বদলা নেওয়া হবে। যার গীবত করা হয়েছে তার পাপের বোঝা গীবতকারীর কাঁধে চাপিয়ে দেওয়া হবে, অথচ সেই গীবতকারী হয়ত সারা জীবনে একবারও সেই পাপ করেনি, তথাপি পরনিন্দার কারণে সেই পাপের ঘানি তাকে টানতে হবে। আবার নিজের কষ্টার্জিত আমল- ছালাত, ছিয়াম, দান-ছাদাক্বাহ, তাহাজ্জুদ, কুরআন তেওলাওয়াত প্রভৃতি ইবাদতের নেকীগুলো গীবতের পরিমাণ অনুযায়ী তাকে দিয়ে দিতে হবে। হাশরের ময়দানে মানুষ যখন একটা নেকীর জন্য হন্যে হয়ে পাগলের মতো ছোটাছুটি করতে থাকবে, সেই কঠিন মুহূর্তে নিজের নেকী অন্যকে দিয়ে দিতে হবে।
=> পরকালের কঠিন শাস্তি ভোগ : নিজের নেকীগুলো অন্যকে দিয়ে যখন গীবতকারী দেওলিয়া হয়ে যাবে, তখন তার জন্য শাস্তি অবধারিত হয়ে যাবে। আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন,
لما عرجَ بِي ربِّي مَرَرْتُ بِقَوْمٍ لَهُمْ أَظْفَارٌ مِنْ نُحَاسٍ يَخْمِشُونَ وجوهَهم وصدورهم فَقُلْتُ: مَنْ هَؤُلَاءِ يَا جِبْرِيلُ؟ قَالَ: هَؤُلَاءِ الَّذِينَ يَأْكُلُونَ لُحُومَ النَّاسِ وَيَقَعُونَ فِي أَعْرَاضِهِمْ،
‘যখন আমার রব (মি‘রাজের রাতে) আমাকে উপরে নিয়ে গেলেন, আমি সেখানে এমন লোকেদের কাছ দিয়ে অতিক্রম করলাম, যাদের নখ ছিল তামা দিয়ে তৈরি। তারা সেসব নখ দিয়ে তাদের মুখমন্ডল ও বক্ষ খোঁচাচ্ছিল। আমি জিজ্ঞেস করলাম, হে জিবরীল! এরা কারা? জিবরীল (আঃ) বললেন, এরা সেসব লোক, যারা (গীবত করার মাধ্যমে) মানুষের গোশত খায় এবং মানুষের মান-সম্মানে আঘাত হানে’।
=> জান্নাতে প্রবেশাধিকার থেকে বঞ্চিত : গীবতকারী মুসলিম যদি গীবত থেকে তওবা না করে মারা যায়, তবে তিনি প্রথম সুযোগে জান্নাতে যেতে পারবে না; বরং তাকে গীবতের শাস্তি পাওয়ার জন্য প্রথমে জাহান্নামে প্রবেশ করতে হবে। যারা মুমিনদের প্রতি মিথ্যা অপবাদ দেয় এবং তাদের নিন্দা করে, ক্বিয়ামতের দিন তাদেরকে জাহান্নামীদের রক্ত-পুঁজ খাওয়ানো হবে। সাহ্ল ইবনে মু‘আয (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন,
مَنْ رَمَى مُسْلِمًا بِشَيْءٍ يُرِيدُ شَيْنَهُ بِهِ، حَبَسَهُ اللهُ عَلَى جِسْرِ جَهَنَّمَ حَتَّى يَخْرُجَ مِمَّا قَالَ،
‘যে ব্যক্তি কোন মুসলিমকে অপমান করার উদ্দেশ্যে তাকে দোষারোপ করবে, মহান আল্লাহ তাকে জাহান্নামের সেতুর উপরে আটক করবেন, যতক্ষণ না তার কৃত কর্মের ক্ষতিপূরণ হয়’।
আহমাদ হা/২৫৭০৮; ইবনু আবীদ্দুনইয়া, যাম্মুল গীবাত ওয়ান নামীমাহ, হা/৭০; পৃ. ২৪, সনদ হাসান
আবূদাঊদ হা/৪৮৭৫; তিরমিযী হা/২৫০২, সনদ ছহীহ
শারহু রিয়াযিছ ছালেহীন ৬/১২৬
ইবনু আল্লান, দালীলুল ফালিহীন ৮/৩৫২।
মানাভী, ফায়যুল ক্বাদীর, ৫/৪১১
তাফসীরে কুরতুবী ১৬/৩৩৫
বুখারী হা/১৯০৪
মুসলিম হা/১১৫১
৬. প্রশ্নঃ কোন আলেম বা উচ্চ বংসীয় কেউ যদি গিবত বা তুহমাত দেয়, তাহলে তারও কী গোনাহ হবে?
উত্তরঃ দেখুন প্রিয় ভাই! মহান আল্লাহর কাছে উচ্চ বংস আর নিম্ন বংসের কোন তফাৎ নেই, বান্দা হিসেবে সবাই সমান, আল্লাহ বলেন " কিয়ামতের দিন মাল-সম্পদ কিছুই কাজে আসবে না, একমাত্র যারা আমার কাছে যারা কলবে সালিম নিয়ে আসবে" সুতরাং আলেম হোক বা যে কেউ হোক গোনাহ করলে অবশ্যই তার শাস্তি পেতে হবে।
সুরা হুজরাত আয়াতঃ ১২
আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিক সমুঝ দান করুন। আমীন
উত্তর লিখনেঃ মুফতি আহমাদ বিন উমর
ইমাম ও খতীব মিস্তরী জামে মসজিদ সিলেট