মাহমুদিয়া মায্হারুল উলূম উমনপুর
মাদ্রাসা শব্দের অর্থ ইসলামিক জ্ঞান অর্জনের শিক্ষালয়। এটি এমন একটি প্রতিষ্ঠান যেখানে কুরআন, হাদিস ও ইসলামের বিভিন্ন বিষয় শিক্ষা দেওয়া হয়। ইসলামী আদর্শ ও নীতির আলোকে শিক্ষার্থীদের গঠন করার মহান উদ্দেশ্য নিয়ে মাদ্রাসাগুলো প্রতিষ্ঠিত হয়।
বর্ণনা:
সকল শিক্ষার পূর্বে ধর্মীয় শিক্ষা অপরিহার্য। এই বাস্তবতাকে উপলব্ধি করে উমনপুর গ্রামবাসী একটি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এই মহতী উদ্যোগে সাড়া দিয়ে মাদ্রাসার জন্য জমি দান করেন মোছাঃ মাহমুদা খাতুন (পিতা: আব্দুল বারী, স্বামী: আলহাজ মোছা মিয়া)। তিনি ------ শতক জমি দান করেন।
জামেয়া মাহমুদিয়া মাযহারুল উলুম উমনপুর মাদ্রাসা জৈন্তাপুর উপজেলার ৬নং চিকনাগুল ইউনিয়নের উমনপুর গ্রামের অন্যতম ইসলামিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এটি ০৪/০৪/১৮২৯ হিজরী, ২৯/১২/১৪১৪ বঙ্গাব্দ, ১১/০৮/২০০৮ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে মাদ্রাসায় নিম্নলিখিত বিভাগে পাঠদান করা হয়:
১) মক্তব চাহারম
২) মক্তব ছুওম
৩) মক্তব দুওম
৪) নূরানী প্রথম
৫) নূরানী শিশু
৬) হিফজ শাখা
মাদ্রাসার দ্বিতল ভবন, ছয়টি কক্ষ ও ওজুখানা রয়েছে। এছাড়াও মাদ্রাসার একটি বৃহৎ খেলার মাঠ রয়েছে, যা অত্যন্ত পরিকল্পিত ও সুসজ্জিত।
শিক্ষার্থী ও শিক্ষক সংখ্যা:
বর্তমানে মাদ্রাসায় অধ্যক্ষ ও সহকারী শিক্ষকসহ মোট ৭ জন শিক্ষক রয়েছেন। শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ১২০ জন। মাদ্রাসার শিক্ষকগণ সবাই উচ্চশিক্ষিত ও ধর্মীয় শিক্ষায় পারদর্শী। শিক্ষার্থীদের শিক্ষা-দীক্ষার পাশাপাশি তাদের চরিত্র গঠন, আদব-কায়দা শেখানোর বিষয়ে শিক্ষকগণ অত্যন্ত যত্নশীল।
সহপাঠ কার্যক্রম:
লেখাপড়ার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের চরিত্র গঠন ও সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য মাদ্রাসার শিক্ষকগণ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। এখানে নিয়মিত ইসলামিক নিয়ম-নীতিমালার চর্চা হয়ে থাকে। এছাড়া প্রতি বছর বার্ষিক জলসাকে কেন্দ্র করে শিশু শিক্ষা প্রদর্শনী আয়োজন করা হয়।
শিক্ষকগণের নাম:
১) হযরত মাওলানা ফোরক্বান আলী কাসেমী (মুহতামিম)
২) হযরত মাওলানা তাজ উদ্দিন
৩) হযরত মাওলানা দেলওয়ার হোসাইন
৪) হযরত মাওলানা মিসবাহ উদ্দিন সুমন
৫) হযরত মাওলানা কাওছার আহমদ (দুলু)
৬) হযরত মাওলানা রুহুল আমিন
৭) হাফিজ মাওলানা নুমানুল হক
এই দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে কোমলমতি শিশুরা অত্যন্ত আনন্দ ও আগ্রহের সাথে ইসলামিক শিক্ষা অর্জন করছে। মাদ্রাসাটি ক্রমেই শিক্ষার মান ও শিক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। শিক্ষার উন্নয়ন ও মাদ্রাসার অগ্রগতির জন্য গ্রামবাসী ও সকল মুসল্লির সহযোগিতা ও দোয়া কামনা করছি।